top of page

মার্গশীর্ষেহ সিতে পক্ষে পঞ্চম্যাং শুভ বাসরে।

পরিক্রম্য মহাশঙ্খং ভক্ত্যা কৃষ্ণানু কীর্তয়েৎ।।

  • শ্রী নারায়ানের পাঞ্চজন্য শঙ্খ এই দিনে আবির্ভূত হয়েছিল বলে , শঙ্খ ক্ষেত্র পরিক্রমা করার নিয়ম এই দিনে নির্ধারিত। মার্গশীর্ষ (অগ্রহায়ন) মাসে কৃষ্ণপক্ষে পঞ্চমী তিথিতে হরিনাম কীর্তন সহকারে এই শঙ্খক্ষেত্র পরিক্রমা করার বিধান। শঙ্খক্ষেত্রকে দক্ষিণ দিকে রেখে পরম ভক্তি সহকারে এই ধাম পরিক্রমা করার উচিত ।

 

  • বামদেব সংহিতায় বলা হয়েছে যে, যে ব্যাক্তি শ্রীক্ষেত্র পরিক্রমা করে সে প্রতি পদক্ষেপে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ করে।

                   পরিক্রমা ২০২৩ -( ২৯ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর)

শ্রীক্ষেত্র পরিক্রমা ২০২২ আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) , দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে শ্রী ক্ষেত্র পরিক্রমার আয়োজন করে আসছে , শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজের প্রিয় সন্ন্যাসী শিষ্য শ্রীমৎ ভক্তিপুরুষোত্তম স্বামী মহারাজের অধীনে একটি ভক্তদল এ পরিক্রমার আয়োজন করে আসছে । এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১৫,০০০ এর উপর অধিক ভক্তবৃন্দ শ্রীক্ষেত্র পুরী পরিক্রমায় অংশগ্রহণ করেছেন। এই পরিক্রমা গত ১০ই নভেম্বর থেকে ১৩ই নভেম্বর পর্যন্ত হয়েছে। শ্রীমৎ ভক্তিপুরুষোত্তম স্বামী মহারাজের অধীনে একটি ভক্তদল এ পরিক্রমার আয়োজন করেছে। শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজ বাংলা, ওড়িয়া, হিন্দি ও তামিল বিভিন্ন দলে প্রবচন রেখেছেন। গুরু মহারাজ জগন্নাথের লীলা বর্ণনা করে ভক্তদের উৎসাহিত করেছেন এবং সকলকে আনন্দ ও গুরুত্বের সাথে কৃষ্ণভাবনামৃত অনুশীলনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। ভক্তরা যেন পুরী ধামে পৌছানোর পর গেস্ট-হাউজে কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া অবস্থান করতে পারেন সেই বিষয় মাথায় রেখে পরিক্রমার কতৃপক্ষ রেজিস্ট্রেশনের ব্যাবস্থা করেছে। পরিক্রমায় নিয়ন্ত্রিতভাবে তিন বেলা প্রসাদ গ্রহনের সুব্যবস্থার অংশটি দেখার মত। তারপর কীর্তন সহযোগে জগন্নাথের লীলা বিজড়িত স্থান গুলি দর্শন যেন প্রত্যেক ভক্তকে ভক্তি পথের উন্নতিতে সাহায্য করে। বিকাল থেকে মহা তীর্থ সমুদ্রের পাড়ে ভজন-কীর্তন, মহারাজ ও অন্যান্য ভক্তদের জগন্নাথ লীলা শ্রবণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিক্রমাটিকে সার্থক করে তোলে। ​

bottom of page