সফলা একাদশীর মাহাত্ম্য!
মহিষ্মত নামে চম্পাবতী নগরে এক রাজা বাস করতেন। তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম লুম্ভক যে সদা সর্বদা বিভিন্ন পাপকর্ম যেমন - পরস্ত্রীগমন, মদ্যপান, ব্রাহ্মণ, বৈষ্ণব ও দেবতাদের নিন্দা করা, ইত্যাদিতে লিপ্ত ছিল। তাই তার পিতা তাকে রাজ্য থেকে বের করে বনে পাঠিয়ে দেয়। সেখানেও সে বিভিন্ন পাপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। পূর্বজন্মের কোন পুণ্যের ফলে সে সফলা একাদশীর আগের দিন অর্থাৎ দশমীতে কেবল ফল আহার করে, রাতে প্রচণ্ড শীতে তার অবস্থা মৃতপ্রায় হয়ে যায়। দুপুরে জ্ঞান ফিরলে সে কিছু ফল সংগ্রহ করে। রাতে প্রাণ রক্ষার্থে ভগবানের উদ্দেশ্যে সেই ফল নিবেদন করে অনাহারে অনিদ্রায় রাত্রি যাপন করল। অজ্ঞাতসারে সে সফলা একাদশী ব্রত নিষ্ঠার সাথে পালন করে ফেলল। তখন সে দৈববাণী শুনতে পেল। সে দিব্যরূপ, স্ত্রী পুত্রসহ রাজ্যসুখ ভোগ করে, পুত্রের হাতে রাজ্যভার অর্পণ করে সন্ন্যাস নিল। মৃত্যুর পর ভগবানের কাছে ফিরে গেল। পূজিত বিগ্রহ হচ্ছেন নারায়ণ এবং নিবেদন হিসেবে আপনারা বিগ্রহকে ফল নিবেদন করতে পারেন। এই একাদশী পালন করলে জাগতিক সুখ ও পরে মুক্তি লাভ করা যায়। এই ব্রতে যারা শ্রদ্ধাশীল, তাঁরাই ধন্য। তাঁদের জন্ম সার্থক, এতে কোন সন্দেহ নেই। এই ব্রত পাঠ ও শ্রবণে মানুষের রাজসূয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়। হাজার হাজার বছর তপস্যায় যে ফল লাভ হয় না, একমাত্র সফলা একাদশীতে রাত্রি জাগরণের ফলে তা অনায়াসে প্রাপ্ত হওয়া যায়।